কক্সবাজার, রোববার, ৫ মে ২০২৪

মুশফিক-রিয়াদ অধিনায়ক সাকিবের কাজ সহজ করে দেন

গত কয়েক বছর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অধিনায়ক হিসেবে ও ব্যক্তিগত দিক থেকে পারফরম্যান্স খুব একটা সন্তোষজনক না হওয়ায় জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয় বিসিবি। সেই সিরিজে টি-টোয়েন্টি দলেও ছিলেন না ডানহাতি এই অলরাউন্ডার।
সে সময় বলা হয়েছিল শুধুমাত্র জিম্বাবুয়ে সিরিজে বিশ্রামে থাকছেন রিয়াদ। এশিয়া কাপে সম্ভাবনা ছিল তাকে বাদ দিয়ে দল ঘোষণার। শেষ পর্যন্ত দলে রয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে লম্বা সময় পর টি-টোয়েন্টিতে ফেরানো হয় মুশফিকুর রহিমকে।
তবে অধিনায়কত্বের দায়িত্বভার বর্তায় সাকিব আল হাসানের ওপর।
জোর গুঞ্জন রয়েছে সাকিবের অনুরোধে দলে রাখা হয়েছে রিয়াদকে। একই সঙ্গে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের অনুরোধে অভিমান ভুলে টি-টোয়েন্টিতে উইকেট সামলানোর দায়িত্বভার নিয়েছেন মুশফিক।
দলে রিয়াদ-মুশফিকের উপস্থিতি অধিনায়কের কাজটা সহজ করে দেয় বলে মনে করেন সাকিব আল হাসান। এই দুজনকে দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করেন সাকিব।
এশিয়া কাপে অংশ নিতে দেশ ছাড়ার আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান বাঁহাতি এই ক্রিকেটার।
সাকিব বলেন, ‘ওনারা দুজন এ সিস্টেমের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ওনারাও এটা জানেন। দুইজনই জানেন তাদের দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ কী। তারা পরিস্থিতিটাও জানেন। আলাদা করে কিছু বলার নেই। আমরাও জানি আমরা ওনাদের থেকে কী প্রত্যাশা করছি।’
গত বছর নিউজিল্যান্ড সিরিজের সময় ডমিঙ্গোর দুই উইকেটকিপার ইস্যুতে এক রকম অভিমান করেই টি-টোয়েন্টিতে আর কিপিং করবেন না বলে ঘোষণা দেন মুশফিকুর রহিম। সাকিবের কথাতেই আড়াই বছর পর কিপিংয়ে নিয়মিত হচ্ছেন তিনি।
উইকেটের পেছনে মুশফিকের ভূমিকা নিয়ে সাকিব বলেন, ‘উনি কিপিং করলে আমার জীবনটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। এটার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে টি-টোয়েন্টিতে সময়টা খুব কম থাকে। ফিল্ডিংয়ের অ্যাঙ্গেলগুলো উনি খুব সহজে বদলাতে পারেন। আমার কাছে শোনার দরকার হয় না। এতে আমার কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়।’
সাকিব যোগ করেন, ‘আমার পক্ষে এগারোটা খেলোয়াড় সব সময় দেখা সম্ভব না। একমাত্র কিপারই আছে যে এটা ভালো দেখতে পারে। ওনার মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকলে এগুলো সহজ হয়ে যায়।’

পাঠকের মতামত: